রিপোর্ট: এস আই সাগর চৌধুরী-ভোলা। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গঠন, শান্তি-শৃঙ্খলা ও আইনের সুশাসন সহ বৈষম্য নিরসনে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান। ফ্যাসিস হাসিনা সরকারের চেয়েও ভয়াবহ অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় দেশ পরিচালনা করছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমানো এবং ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বন্ধসহ দেশে সু-শৃঙ্খলা ফিরাতে বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির বিক্ষোভ।
বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির উদ্যোগে ৬ই ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডাল, তেল, আলু, চিনি, ঔষধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের অপকর্ম বন্ধ করার দাবিতে গণ-সমাবেশ ও বিক্ষোভ প্রকাশ অনুষ্ঠিত হয়।
গণ-সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার এবং সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সদস্য লেখক অমূল্য কুমার বৈদ্য। সভাপতির বক্তব্যে এম এ আলীম সরকার বলেন, দেশে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করে যেভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি করেছে, তাতে সাধারণ জনগণ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের চাপে অর্ধেক লোক চরম দুর্গতির মধ্যে দিয়ে বেঁচে আছে। এক-তৃতীয়াংশ লোক অনাহারে অর্ধাহারে আছে এবং পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটদের নিকট দেশ জিম্মি হয়ে পড়েছে। দেশে যে অবস্থা চলছে তাতে মানুষের নিরাপত্তার অভাব আছে। দুর্নীতিবাজরা এখনো সক্রিয় আছে। বিগত ১৫ বছরে ২৮ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। পাচারকৃত অর্থ বিদেশ থেকে এনে সহজ শর্তে কৃষকদের মধ্যে ঋণ প্রদান করতে হবে। অর্থপাচারকারী ও ব্যাংক লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অন্তর্র্বতী সরকার এখনো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আমরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের অপকর্ম বন্ধ করার জন্য অন্তবর্তী সরকারের নিকট কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। আমরা এই সরকারের সাফল্য চাই। সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য নানা চক্র গড়ে উঠেছে। বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য আমরা এই অন্তবর্তী সরকার নিকট আহ্বান জানান। আরো বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সদস্য প্রভাষক বিজন হালদার, কেন্দ্রীয় সদস্য প্রভাষক মহসিন আলমগীর এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
গণ-সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।