রিপোর্ট: আরমান খান অপু, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মচারী গন বলেন। আমরা দীর্ঘদিন মাছরাঙ্গা সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিঃ ও কন্ট্রাক্ট ক্লিনিং সার্ভিসেস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেমায়েত হোসেন ফারুকের সীমাহীন দূর্নীতি অনিয়ম নির্যাতনে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
ওই কোম্পানি দুটির পরিচালক ও তার এজেন্টরা সরকারি প্রতিষ্ঠানে সরকারি চাকুরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আউট সোর্সিং এ নিয়োগ দিয়ে আমাদের সাথে প্রতারনা করেছেন। তারা মাসের পর মাস আমাদের বেতন বন্ধ করে রেখেছেন।
অন্যদিকে প্রকৃত কর্মচারিকে বেতন না দিয়ে তার নিজস্ব লোকদের বেতন প্রদান করে আসছেন। অথচ দিনের পর দিন আমরা যারা শ্রম দিয়ে আসছি তাদের বেতন দেওয়ার কথা কখনোই ভাবছেন না। অথচ অর্থের বিনিময়ে যখন তখন নতুন নতুন লোক নিয়োগ দিচ্ছে।
হাসপাতালে সরকার স্বীকৃত ৩০৬ জন লোকের স্থলে ঠিকাদারের অর্থনৈতিক নিয়োগে কাজ করে পাঁচ শতাধিক মানুষ। নিয়োগ পত্রে চাকুরীর কোন মেয়াদ উল্লেখ না করে আমারা দেখেছি কখনো কারও কারও ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র না দিয়েই কাজে যোগদান করানো হচ্ছে।
এদের মধ্যে কেউ বেতন পেয়েছে আবার কেউ বেতন পাচ্ছেন না। চাকুরী নবায়নের জন্য ঠিকাদার ও তার সহযোগীরা প্রত্যেক কর্মচারীর নিকট থেকে প্রতি বছর নগদ টাকা আদায় করছে। নারী কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানিক অনুমতি নিয়ে মাতৃত্বজনিত ছুটি নেওয়ার পরেও চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগও রয়েছে।
এসব অনিয়ম এর প্রতিবাদ করলে ঠিকাদারের লোকজন হামলা হয়রানিমূলক মামলা গুম ও খুনের হুমকি দিয়ে থাকে। ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হেমায়েত হোসেন ফারুক যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তখন সেই সরকারের উর্দ্ধতন নেতা মন্ত্রিদের সাথে ছবি ফেসবুকে ছেড়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।
ইতিমধ্যে খুলনা যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাদল হক রুবায়েদ কে এই মাছরাঙ্গা সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিঃ এর চেয়ারম্যান করে দিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ঠিকাদারের এসকল অনিয়মের বিরুদ্ধে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, শ্রম অধিদপ্তর, শ্রম আদালতে, সোনাডাঙ্গা থানায়, সেনাবাহিনী ক্যাম্প/যৌথ বাহীনির ক্যাম্প, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সমন্বয়কদের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
আমরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু কোন প্রতিকার পাইনি। অদৃশ্য ক্ষমতার প্রভাবে আমরা কোন সুরাহা না পেয়ে আপনাদের স্বরণাপন্ন হয়েছি। আমরা শোষিত, আমরা নির্যাতিত, আমরা ভুক্তভোগী, আমরা মহামারী করোনার সময়ের সম্মুখসারির যোদ্ধা।
অথচ আমরা কোন প্রণোদনা পাইনি, আমরা কোন স্বীকৃতি পাইনি, আমরা দীর্ঘদিন বেতন না পেলেও নবায়ন বিলম্ব হলেও আমরা সেবাদানে কখনও বিলম্ব করিনি।
১৮ই নভেম্বর ২০২৪ ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভুক্তভোগীরা এই অভিযোগ তুলে ধরেন। সাহিদা আক্তার পাখি মাতৃভাষা টেলিভিশন।