রিপোর্টঃ এস আই সাগর চৌধুরী-ভোলা। ঢাকা জেলার যে সকল রাস্তা দেখিয়ে ঢাকা থ সিএনজি চলাচলের পারমিশন দিয়েছে সে সকল রাস্তা কেটে ঢাকা মহানগরে যুক্ত করে সিএনজি অটোরিক্সা মালিক শ্রমিকদের সাথে বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন বিগত সরকার।
ঢাকা মহানগরে চলাচলের জন্য যে সকল সিএনজি চালকদের কাছে বিক্রি করবেন। তা না করে সে সকল সিএনজি অসাধু ব্যবসায়িদের কাছে বেশি টাকায় বিক্রি করে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে বিগত সরকার।
ঢাকা মহানগরে সিএনজির যে সরকারি ট্যাক্স ভ্যাট লাইসেন্স, ঢাকা থ সিএনজির একই ভ্যাট ও কাগজপত্র। ঢাকা মহানগর সিএনজির আয় এবং ঢাকা থ সিএনজির আয় এক নয় কিন্তু খরচের বেলায় সরকারি দপ্তরে একই তাই আমাদের দাবি অন্তত ১২ হাজার ঢাকা থ সিএনজির মধ্যে 3000 ঢাকা থ সিএনজি ঢাকা মহানগরে চলাচলের জন্য অনুমতি দেয়ার জোরলে দাবি জানাচ্ছি।
ঢাকা থ সিএনজি অটোরিক্সা মালিক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটি বলেন আমরা ঢাকা মহানগরে চলাচলের সময় বিভিন্ন ভাবে ট্রাফিক সার্জেনের কাছে রেকার ডাম্পিং ও মামলার সিকার থেকে পরিত্রান চাই।
আজ বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিক্সা মালিক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটি নেতৃবৃন্দরা জমায়েত হয়ে চালকবৃন্দগণ তাদের বিস্তারিত সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
জমায়েত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিক্সা মালিক/শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আব্দুল জব্বার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মজনু তালুকদার। উক্ত সভায়, সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জুয়েল মালতিয়া। পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন।
এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মোঃ নয়ন মিয়া। সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান সুমন। সহ-সভাপতি রাজিব। সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শাহিন। প্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আরিফ। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহফুজুর রহমান। কোষাধ্যক্ষ মোঃ জাফর। সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল শেখ। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীন। যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ খোকন। সাংস্কৃতিক ও ক্রিয়া সম্পাদক মোঃ হাশেম। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফয়সাল আহমেদ রুবেল।
আরো উপস্থিত ছিলেন খিলখেত থানার মোঃ চান মিয়াসহ নেতৃবৃন্দ। সাইনবোর্ড স্ট্যান্ড কমিটির নেতৃবৃন্দ। কেরানীগঞ্জ থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ। কাফরুল থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ। রূপগঞ্জ থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ। জুরাইন স্ট্যান্ড কমিটির নেতৃবৃন্দ। শ্যামপুর থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ। হাতিরঝিল থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ। কুড়িল বিশ্বরোড স্ট্যান্ড কমিটির নেতৃবৃন্দ। বাড্ডা থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ। আদাবর থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ। কদমতলী থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ। পোস্তগোলা স্ট্যান্ড কমিটির নেতৃবৃন্দ। ডেমরা থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ। ভাষানটেক থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ। যাত্রাবাড়ী থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ। সবুজবাগ থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ। মুগদা থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ। নন্দীপাড়া স্ট্যান্ড কমিটির নেতৃবৃন্দ। খিলগাঁও থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ ২০টির অধিক থানা কমেটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টার একান্ত সচিবের কাছে স্মারকী হস্তান্তর করেন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, স্মারক লিপি গ্রহন করেন আবদুল্লাহ আল মাসুদ। সোসাইটির দাবিগুলো হচ্ছে- মহানগরীর চালকরা যেন বৈষম্যমুক্তভাবে বিনা বাধায় ঢাকা মেট্রো-থ গাড়ির মতো ঢাকা-থ গাড়ি মহানগরের রাস্তা ব্যবহার করতে পারেন। মহানগরীতে চলাচলের আবেদনটি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীতে চলাচল করা ঢাকা-থ গাড়িগুলো ট্রাফিক সার্জেন্টকে রেকারিং, ডাম্পিং, রোড পারমিটের মামলা না করার জন্য নির্দেশ দাবি জানান। এছাড়া ঢাকা জেলার ওপর দিয়ে যেসব হাইওয়ে রাস্তা আছে, সেসব রাস্তায় অথবা হাইওয়ের পাশ দিয়ে বাই লেন তৈরি করে সিএনজি অটোরিকশাসহ ধীরগতির বাহন চলাচলের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান।