বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরাম ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে পুরানা পল্টন আজাদ সেন্টারে আসন্ন ঈদ থেকে শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদান ও এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণ এবং ইবতেদায়ি শিক্ষা জাতীয়করণের দাবীতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ ড. মাওলানা এ কে এম মাহাবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফোরামের সহ-সভাপতি উপাধ্যক্ষ মোঃ আবদুর রহমান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ মাইনুদ্দিন।
আরো উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ ড. এমরানুল হক, উপাধ্যক্ষ মোঃ আবদুর রহমান, প্রধান শিক্ষক সাহিদুল ইসলাম, সহকারি অধ্যাপক এস এম আব্দুল হামিদ, সহকারি অধ্যাপক মোঃ ইসমাইল হোসেন, সহকারি অধ্যাপক মহিবুল্লাহ জামি প্রমুখ।
সভায় বক্তাগণ বলেন- বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীগণ বৈষ্যমের স্বীকার ও শতভাগ উৎসব ভাতা থেকে বঞ্চিত। এমপিওভুক্ত শিক্ষা বৈষম্য দূরীকরণের ন্যায দাবী, ইবতেদায়ি শিক্ষা জাতীয়করণ সাংবিধানিক অধিকার। তাই তারা ইবতেদায়ি শিক্ষা জাতীয়করণের দাবী জানান।
বক্তাগণ আরো বলেন- বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য বদলি নেই, অনার্স মাস্টার্স পাঠদানকারী শিক্ষকদের এমপিও নেই, পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস নেই, পূর্ণাঙ্গ বাড়িভাড়া নেই, পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ভাতা নেই, টাইম স্কেল নেই, গৃহ ঋণ নেই, প্রমোশন নেই, বিনোদন ভাতা নেই, পূর্ণাঙ্গ পেনশন নেই, পূর্ণাঙ্গ ভবিষ্যত তহবিল নেই, শিক্ষাসহায়ক ভাতা নেই, পাহাড়ি ভাতা নেই, শুধু নেই আর নেই, শিক্ষায় সব সমস্যার সমাধান এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, আমি আগে মুসলমান পরে বাঙ্গালী মক্তব্যের শিক্ষাই হলো বুনিয়াদি শিক্ষা। মুসলমান একবার মরে, দুইবার মরে না। সেই বঙ্গবন্ধুর দেশে শিক্ষায় বৈষম্য থাকতে পারে না। ৫০০/- টাকা বেতনে প্রাথমিক শিক্ষা ও ইবতেদায়ি শিক্ষা শুরু হয়েছে। হাজার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও একটি ইবতেদায়ি মাদরাসাও জাতীয়করণ করা হয় নাই। তাই বক্তাগণ ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণসহ শিক্ষায় সকল বৈষম্য দূরীকরণের দাবী জানান।